মুহাইমিনুল নাফিউ
স্বর্গের সিঁড়ি বেয়ে নেমে আসা,
এক অভিশপ্ত অন্ধকার আমি।
আলোর খোঁজে ছুটে চলা,
সব হারানো পথিক আমি।
খুঁজে ফিরি তোমায় দিবানিশি,
অন্ধকার হতে আলোয় মিশি;
যখন মিনারের আড়ালে সন্ধ্যা নামে,
আমার পা দুটো ভেঙ্গে পড়ে,
আকাশপানে চেয়ে থাকি,
কোন পাপের সাক্ষী আমি?
আমি কি আজ এতটাই অছ্যুৎ তোমার দরবারে,
কুঁজো হয়ে নুইয়ে থাকি কোন পাপের ভারে?
সূর্যের আলোয় স্নান করে,
পাপ সব ঝেড়ে ফেলি,
যত ঝাড়ি,
তত ঝুলি,
পূর্ণ হয় পাপে;
পায়ে পড়ে রই তোমার দিবারাত্রি,
তবু দেখা পাই না আজও।
আমি যেন স্বর্গ থেকে বিতাড়িত রথের এক যাত্রী,
যে নিষিদ্ধ আদমের আপেলের মতো।
তবুও জানতে চাই,
কেন আজও আমি অছ্যুৎ তোমার দরবারে,
কুঁজো হয়ে নুইয়ে থাকি কোন পাপের ভারে?
মুহাইমিনুল নাফিউ নিজেকে আর্নেস্ট হেমিংওয়ের উপন্যাসের সমুদ্রে ঝড়ে আটকে পড়া, সব হারানো কিন্তু হার না মানা বুড়ো এক নাবিকের মতো মনে করে।