রাহিন আমিন
০১.
কতদিন মানুষ এমনে বাঁচে?
যে বুকে ভালোবাসা নাই –
শুধু তর্কে জেতার তীব্র মানবিক আনন্দ।
প্রকৃতিও আমার মতো
আমার জানালাজুড়ে ক্যামেলিয়া ফোটে — ওই পরকীয়াওয়ালা কবিতাটায় যেমন
ভোরের আলোয় প্রকৃতি দেখি – তীব্র গোলাপি রঙ।
প্রকৃতিও আমার মতো –
অ্যাটেনশন সিকিং হোর।
আমি ঘরের এক কোনায় পড়ে থাকি
ভাবি —
নয় বছর একদিন পরে কেউ এমনেই আমারে কষ্ট দিবো,
যেমনে আমি দিছিলাম – মানুষরে।
তখন আমিও বলতে পারুম,
দেখো –
ভুল তো সব মানুষই করে,
আমি একা না।
আমি কষ্ট পাইতে চাই, শুধু ভালবাসা পাওয়ার লোভে।
আমি মরে যাইতে চাই, বাচাঁর ভয়ে নয় –
শুধু সম্মান পাওয়ার লোভে।
একদিন মানুষও কইবো,
আহারে, লোকটা তো ভালোই ছিল!
০২.
আমার পড়ার টেবিলের পাশে উঁচু বুকশেল্ফটার উপর তিনটা গাছের টব –
একটা নীল প্লাস্টিকের, আরএফএলের
স্পাইডারপ্লান্ট।
বাবা এনেছিল, লালমাটিয়ার এক গলি থেকে
ওখানে আবার প্রচুর নার্সারি।
চিকন লম্বা পাতা, পাশে সাদা বর্ডার
ঠিক সাদাও না, অফ হোয়াইট –
ঝাকড়া পাতার গাছ, সবুজে সবুজাভ।
শুধু একটা পাতা হলুদ,
তার শরীরের অর্ধেক থেকে মাথা পর্যন্ত।
যেমন আমার একটা হাত, তীব্র লাল –
কনুই থেকে বুড়ো আঙুলের ডগা পর্যন্ত।
একদিন বাবা টান মেরে সেই পাতাটা ছিঁড়ে ফেলল।