তারা

Editor
13 Min Read

তাসনিম জারিন অধীরা


 

“আমি তোর বাসার সামনে দাঁড়ানো, এক্ষুনি নাম, নাইলে আমি কিন্তু বাসাতে ঢুকে যাব।”
” মানে কী?”
“এক সেট জামা নিয়া নাম, নাইলে ঢুকলাম বাসায়।”
“আরেহ, দাঁড়া!”
পনের মিনিট পর হন্তদন্ত হয়ে আমাকে আসতে দেখে সারাহ বলে উঠল, “তুই কোনখানের নবাব রে, যে তোর এত সময় লাগল নামতে?”
আমার সূক্ষ্ম দৃষ্টি দেখে সারাহ আবার বলল, “দেখ, ১০ টায় ট্রেন, সিএনজি ডেকে রাখছি, জলদি উঠ।”
” আমরা যাচ্ছিটা কোথায়?”
“সেটা তো গেলেই দেখবি, উঠ!”
১ ঘণ্টা পর নিজেকে কমলাপুর রেলস্টেশনে দেখে আমি আর কথা না বলে থাকতে পারলাম না।
“সারাহ! যাচ্ছি কোথায়?”
“কুষ্টিয়া!”
“কেন?”
“দেখ সাইরেন দিয়ে দিছে, কথা না বলে উঠ তোহ্!”

“ভাই, কোন টা দিব? লাল না সাদা?”
রেলের ঝমঝম শব্দে আমার চিন্তায় ছেদ পড়ল দোকানদারের কথায়৷
“দুইটাই দিও, একদম সুন্দর করে তোড়াটা সাজায় দিও।”
“আচ্ছা ভাই।”

সারাহ মেয়েটার সাথে কত অচেনা জায়গায়ই না যাওয়া হত, কখনো হাঁটতে হাঁটতে, কখনো বা গুগল ম্যাপ ধরে৷ মেয়েটার মধ্যে কিছু একটা ছিল। সে হাসলে তার চোখ দুটিও হাসত৷ একরকম প্রচণ্ড ছন্দের স্ফুরণ চোখে পড়ত। সেই চোখ জোড়াকে নিরাশ করার সাহস হত না। ফলে কখনোই তার আবদারকে না বলতে পারি নি মুখের উপর।
শুধু একবার বাদে।
“চল না আশফাক ঐ চরকিটায় চড়ি, দেখ কত্ত উঁচুতে নিয়ে গিয়ে ঘুরায়, পুরা শহরটা দেখা যাবে।”
“নাহ, ভাল লাগতেছে না উঠতে।”
“আরে আমি একা কীভাবে উঠব?”
“উঠিস না।”
“না, উঠব।”
“দেখ, সবসময় ভাল লাগে না, না বললাম তো!”
ব্যস, এরপর টানা ২ দিন কোনো কথা নেই, কোনো টেক্সট নেই, কোনো দেখা নেই। যেখানে তার কথায় কান ভরে যেত, তার আজগুবি সব কথাগুলোতে দিন কাটত, রাত পোহাত,শহরের কাকপক্ষীও অস্থির হয়ে উঠত, রাস্তার শুকনো পাতাও বুঝি প্রাণ পেত, নীরবতা নামক জিনিসটাও যে একরকম অস্তিত্ব হারাতো, সেই কথাগুলি না শুনতে পেরে প্রথম দিন পেরোতেই কেমন অস্থির লাগা শুরু করল। বুঝলাম না কেন, অথচ আগে তো দিব্যি সময় কেটে যেত৷ দ্বিতীয় দিন রাতে বুঝতে পারলাম এভাবে তো থাকা যায় না৷ পরদিন সকালেই চকোলেট নিয়ে হাজির হলাম তার বাসার সামনের ক্যাফেটায়৷
তাও কি রাগ।
“আমি এটা খাই কখনো? বাদামওয়ালা চকোলেট দেখছিস আমাকে খাইতে কখনো? মনে থাকে কিছু? মানে এখন কেন আসছিস? লাগবে না, যা তুই!”
“আচ্ছা ভুল হইছে বললাম তো, তুই বল কী করা লাগবে।”
“যা বলব করবি?”
“কী বলবি, আমার মা?”
“সদরঘাট চল।”
“গিয়ে?”
“নৌকায় চড়ব।”
“আচ্ছা চল।”
“আসলেই নিয়ে যাবি?”
“তা তুইই না বললি যাবি?”
“হ্যাঁ, হ্যাঁ, কিন্তু আজকে না।”
“কেন?”
“আহ, রাগ আমার, দিন আমিই ঠিক করব।”
“আচ্ছা।”
“কালকে, একদম দুপুর দেড়টার দিকে আমাকে এইখান থেকে নিয়ে যাবি, বুঝলি?”
“বুঝলাম।”

 

“আমি আজকে সময়মতো আসলাম আর তুই এখন কোথায়?”
“আরেহ, এই তো।”
“রোদে পুড়ে–”
“এই যে!”
আসমানি রঙের শাড়িতে দেখে আমি কিছুক্ষণ চুপ করে তাকিয়ে থাকায় সারাহ বলে উঠল, “এমন হাবলার মতন তাকিয়ে আছিস কেন? “
“না, মানে—”
“কি? সুন্দর লাগতেছে?”
“সেটা না, ভাবতেছি তুই তো এভাবে বাসে উঠতে চাইবি না, আমার পকেট তো রিক্সা ভাড়া দিতে দিতেই ফাঁকা হয়ে যাবে!”
“ওহ, তাই? যতসব! ভাল কিছু তো বের হবে না তোর মুখ দিয়ে।”
“আচ্ছা, চল এবার।”
সেদিন সারাহকে একদম মেঘবালিকা লাগছিল। আমার চোখজোড়া তার পান থেকে সরানো দায় হয়ে গিয়েছিল। নৌকায় ছিল মাঝবয়সী এক মাঝি। দুপুর গড়িয়ে বিকেলের পথে গান ধরেছিল এক ভরা গলায়—

“কূলে কূলে ঘুরিয়া বেড়াই আমি/
পাইনা ঘাটের ঠিকানা/
ডুব দিলাম না।”

অথৈ জলেতে এক অদ্ভুত রক্তিম কমলা রঙে ঘিরে থাকা নৌকায় সারাহ গান ধরেছিল তারপর। সে সচরাচর সবার সামনে গায় না, কিন্তু সেদিন গেয়েছিল। আমি এক পাশে ছিলাম আর সে অন্য পাশে পানিতে পা দুলিয়ে গান তুলেছিল—
“তোমাকে যখনই চেয়েছি সত্তার অন্তরালে সংগোপনে/
তখনই জেনেছি আলো হয়ে আছো তুমি আমার আঁধারে/
আর যখনই ভেবেছি বাঁধব সীমা চারপাশে তোমাকে ঘিরে/
তখনই ফেলেছি হারিয়ে তোমাকে আপন আঁধারে।”

আমি ডুবে গিয়েছিলাম সেদিন। এক নতুন গোধূলিলগ্নে নিজেকে ডুবে যেতে দিয়েছিলাম।

সারাহ-র অদ্ভুত অদ্ভুত সব আবদার আমার রোজকার অভ্যাসে পরিণত হয়ে গিয়েছিল। এমনকি সে আবদার না করলেও আমার অস্বস্তি হত। কখনও রাত ১০ টায় ফুচকা খাবে বলত, কখনও বা ভোরবেলায় হাঁটবে বলে আমাকে ডেকে তুলত, কখনও বা আমাকে দিয়ে ডজনখানেক বেলুন কিনিয়ে আকাশে উড়িয়ে দিত, রাত-বিরাতে ফোন দিয়ে তার দুনিয়ার ছোট ছোট বিষয় নিয়ে বিস্তর কথা বলে যেত, কখনও হাঁটতে হাঁটতে দোকানে ঢুকে পড়ে শাড়ি কিনত আর কখনও উন্মাদ হয়ে তারা গুনত। কেন যেন মেয়েটাকে প্রচণ্ডভাবে আগলে রাখতে চাইতাম। আর সে ছিল একদম খামখেয়ালিপনায় ভরপুর। সহজে ঠাণ্ডা লেগে যাওয়ার বাতিক আছে তার, ডাক্তারের কড়া নির্দেশ যেন কোনভাবেই ঠাণ্ডা কিছু সে না খায়, আর না বৃষ্টিতে ভিজে। শীতকালটাতে তাই তাকে নিয়ে খুব একটা সমস্যায় পড়তে হবে না ভেবেছিলাম। কিন্তু ঘটল ঠিক তার বিপরীত।
ডিসেম্বর মাস তখন। সেবার শীত ভালই পড়েছে। ফুলার রোড দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে প্রচন্ড দমকা বাতাস বইতে লাগল। বুঝতে দেরি হল না কীসের আভাস, আর ঠিক পর মুহূর্তেই ঝুম বৃষ্টি। আর সেই সাথে আমার হাজার মানা করা সত্ত্বেও সারাহ এই শীতে ভিজে চুবচুব। তার সাথে আমাকে ভিজতে হল। সে এই বৃষ্টির মাঝেই আইস্ক্রিম কিনে খাওয়া শুরু করল, তার কাছে সেটা নাকি ভীষণ মজা লাগত। কিন্তু এর পরের ঘটনা কী হবে সেটা আমার জানা ছিল।
১০৩ ডিগ্রি জ্বর, সর্দি কাশি একদম জেঁকে ধরল তাকে। এইবার আমিই রাগ করে কথা বলি নি দিনেক। তাকে দিয়ে প্রতিশ্রুতি করিয়ে নিয়েছিলাম যেন আর না ভিজে। তাও কত সব শর্ত জুড়ে দিল, শেষমেষ শীত হেমন্ত বাদে অন্য সব সময় ভিজতে পারবে এই বলে কথা দিয়েছিল।

 

“হ্যালো?”
“হ্যাঁ, বল।”
“শোন, আমি রাতের বাসে সাজেক যাচ্ছি।”
“ মানে?”
“মানে আবার কী?”
“কার সাথে যাচ্ছিস? কীভাবে? কয়দিন থাকবি? আর হুট করে কেন?”
“আস্তে আস্তে, বলছি। ভাইয়া তো আসল দুইদিন আগে, তো হুট করেই প্লান করল, বাসের টিকেট কনফার্ম করল মাত্রই, তাই তোকে এখন জানালাম। আর এই তো এক সপ্তাহ, সাজেক থেকে বান্দরবন, সুন্দরবন এসব জায়গাতেও যাব খুব সম্ভবত।”
“আচ্ছা…”
“আচ্ছা রাখলাম, ব্যাগ গুছাব।”
“আচ্ছা।”

ব্যস, বলা নেই কওয়া নেই, হুট করে কেউ এভাবে নাই হয়ে যায় নাকি? কী আশ্চর্য। খুব বিরক্ত হয়েছিলাম সারাহ-র উপর সে বার। মনে মনে ভেবেছিলাম, নাহ, এবার সারাহকে সামনে বসিয়ে কথা বলা লাগবেই।

দিন দুই পরে সারাদিন সারাহ-র কোনো খোঁজ না পেয়ে রাতে খুব ক্লান্ত লাগায় তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়েছিলাম। ১২টা নাগাদ ফোনটা বেজে উঠল। খুব কষ্টে চোখে খুলে দেখি সারাহ ফোন দিচ্ছে। আমি সাথে সাথে ফোন ধরে এক লাফ দিয়ে উঠে বসি।
“হ্যালো?”
ওপাশ থেকে সারাহ কোনো কথা বলছে না , কিন্তু কেমন যেন গোঙাচ্ছে।
সারাহ কি কাঁদছে?
“এই সারাহ। কী হল? কাঁদছিস কেন?”
সারাহ কিছু না বলায় আমি আবার বলে উঠলাম, “আহ, বলবি তো? তুই ঠিক আছিস? সবাই ঠিক আছে?”
“আচ্ছা, আশফাক, আমি যদি এই তারাদের রাজ্যে থেকে যাই তাহলে কি হবে?”
“কী হবে মানে? এটা কি বলছিস?”
“জানিস এত শত সহস্র তারা তারপরও কেন জানি এক বিশাল শূন্যতা। আচ্ছা, যদি আমি এখানে থেকে যাই তুই কী করবি? তুই খুব খুশি হয়ে যাবি না যে আর কেউ তোকে এত বিরক্ত করবে না এই ভেবে? আর কেউ ভোরের গভীর ঘুম ভাঙিয়ে তোকে এক কাপড়ে অন্য জেলায় নিয়ে যাবে না এই ভেবে আরামে ঘুমোতে পারবি, তাই না?”
“না।”
“কী না?”
“কিছু না।”
“আচ্ছা, বল তো তোর জন্যে কী আনব?”
“লাগবে না আমার কিছু।”
“সত্যি? দেখ, এই সুযোগ হাতছাড়া করতে নেই।”
“তুই ঠিকমতন চলে আয় জলদি, তাহলেই হবে।”
“আচ্ছা, তোকে একটা গান শুনাই?”
“হ্যাঁ।”
“তোমাকে যখনই চেয়েছি সত্তার অন্তরালে সংগোপনে/
তখনই জেনেছি আলো হয়ে আছো তুমি আমার আঁধারে/
আর যখনই ভেবেছি বাঁধব সীমা চারপাশে তোমাকে ঘিরে/
তখনই ফেলেছি হারিয়ে তোমাকে আপন আঁধারে।”

“রাখি ফোন এখন।”
“আচ্ছা।”

সেদিনের পর থেকে সারাহ-র ঢাকায় আসার আগ পর্যন্ত আমার ঘুম হয় নি। প্রচণ্ড অস্থির লাগছিল। তাই যেদিন সারাহ আসল সেইদিনই দেখা করতে চাইলাম তার সাথে। সে রাজি হয় নি প্রথমে, কিন্তু অনেকবার বলায় সন্ধ্যায় দেখা হয় তার সাথে। আর আমি ঠিক করেছিলাম, তাকে একটা চিঠি তে বলব সব, লাল কাচের চুড়ি আর লাল-সাদা গোলাপও নিয়ে গিয়েছিলাম।

 

“বাবা, কোন রঙের দিব?”
“লালটা দিয়েন।”
“ আচ্ছা, ৫০ টাকা।”
“ধরেন।”
চুড়ি কিনে টাকাটা দিতেই ফোন টা বেজে উঠল। বাসা থেকে ফোন করছে। নাহ, ধরব না এখন। একবারে গিয়ে চমকিয়ে দিব।
বাসার দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ফোন দিলাম।
“মা, সারাহকে দরজাটা খুলতে বলো তো।”
“তোর না আজকে আসার কথা না?”
“আহ, মা, খুলতে বল তো, ঢুকে কথা বলছি।”
“দাঁড়া, দাঁড়া।”
“সারাহ, দেখো তো কে এসেছে।”
“কে?”
“যাও গিয়ে দরজাটা খুলেই দেখো না।”
সারাহ দরজাটা খুলতেই আশফাককে দেখেই চিৎকার দিয়ে বলে উঠল –
“বাবা!!!”
আর অমনি আশফাকও ছোট্ট সারাহকে কোলে তুলে নিয়ে জড়িয়ে ধরল।
“আমার সারাহ! দেখো কত কিছু এনেছি তোমার জন্যে।”
“আল্লাহ বাবা, তুমি আসবে না শুনে আমি তো রাগ করে বসেই ছিলাম।”
“এখন আমি আমার ছোট্ট সারাহ-র করা আবদারটা কি করে না রেখে পারি বল তো?”
“তুমি একটা ফোন দিবে তো?”
“আরে হিয়া, তোমাকে ফোন দিলে তো আর তোমার মেয়েকে এভাবে চমকিয়ে দিতে পারতাম না।”
“তুমি পারো-ও।”
“দেখ, মা, বাবা আমার জন্যে কী সুন্দর গোলাপ আর চুড়ি এনেছে।”
“আচ্ছা, এবার নামো, বাবাকে ফ্রেশ হতে দাও।”

“আচ্ছা, তুমি প্রতিবছর এত কিছু কর কেন বল তো? পরে কিন্তু অন্যায় আবদার টাও মেনে নিতে হবে। তখন বুঝবে মজা।”
“কী করব বল তো। একটাই তো সারাহ আমার। কী করে না করি?”
“আচ্ছা, খাবার বাড়ছি। এসো, খেয়ে নাও।”

একটাই তো সারাহ আমার। কী অদ্ভুত। ড্রয়ার খুলে একপাশে রাখা একটা কালো চাদর বের করে এক মনে তাকিয়ে থাকলাম। সাজেক থেকে ফিরে যেদিন সারাহ-র সাথে দেখা করেছিলাম, সেদিন তাকে কেমন যেন অচেনা লাগছিল।
“এদিকে আয়, বস পাশে।”
সারাহ নিজ হাতে চাদরটা পরিয়ে দিয়েছিল।
“এটা তোর জন্যে।”
“আমারও কিছু দেওয়ার আছে।”
“তার আগে আমার কথা শোন।”
“বল”
“তোর হাতটা ধরি?”
“আচ্ছা…”
“বেশ কিছুদিন ধরেই ডাক্তার দেখাচ্ছিলাম। কেন জানি কিছুই স্পষ্ট হচ্ছিল না। আমার ফুসফুসে পানি চলে এসেছে। আর এখন এটা খুবই বাজে একটা অবস্থায় চলে গেছে। ট্রান্সপ্ল্যান্ট করাটা সম্ভব না। ডাক্তারি ভাষা এত বুঝি না, আমার শরীর নাকি ধকল সামলাতে পারবে না। এই তো, বেশি দিনের আশা নাই বলে দিয়েছে। রিপোর্ট কনফার্ম হবার পরই সাজেক যাই। কত কিছু দেখার বাকি এখনো তাই বাকেট লিস্ট থেকে একটু একটু করে কমানোর চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু আমরা মানুষ, যা চাই তা তো পাই না সবসময়। এই যেমন তোর মতন হাবলাকে আজীবন জ্বালানোর ষড়যন্ত্র মাথায় উঁকি দিয়েছিল। বেঁচে গেছিস,” সারাহ এক নাগাড়ে কথাগুলি বলে গিয়েছিল।

শেষে ঠোঁটের কোণে হালকা হাসি আর চোখ দুটি থেকে পানি পড়ছিল। আর আমি…আমি কিছুই বলতে পারি নি। আমি সারাহকে জড়িয়ে ধরে অঝোরে কাঁদতে থাকি। আমি ওকে যেতে দিতে চাই নি সেদিন, সারা জীবন রেখে দিতে চেয়েছিলাম।

 

সেদিনের কয়েক মাস পরেই, নভেম্বরে সারাহ তারাদের রাজ্যে চিরদিনের জন্যে চলে যায়। আমিও জীবন চাকার তালে এগুতে থাকি। আমার জীবনে এক নতুন ছোট্ট প্রাণ আসে, তার নাম রাখি সারাহ। সারাহ-র অনেক অদ্ভুত সব ইচ্ছার মাঝে একটা ইচ্ছা ছিল তার নামে আমি যেন কারোর নাম রাখি। সেই ছোট্ট সারাহকে নিয়ে এখন আমি বাঁচি।
দিন শেষে রাতের আকাশে আমার পুরোনো সারাহকে খুঁজি, আর পিছন ফিরে ছোট্ট মেঘবালিকাকে দেখি। আমার ছোট্ট মেঘবালিকা।

 


লেখালেখি তাসনিম জারিনের কল্পনা জগতের একটা ছোটখাটো প্রকাশমাত্র। সে আড়ালে থাকা সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম সাধারণ জিনিস সবার সামনে তুলে আনার চেষ্টা করে এবং নিজেকে ‘চিত্রকল্পী’ হিসেবে আখ্যা দিতে পছন্দ করে।

Share this Article
Leave a comment