তাসনিম জারিন অধীরা
বেবাগী পিয়ানো নীল সাগরে দেয় জলাঞ্জলি
আঁখি ভরে দেয় আঁধার অঞ্জলি,
হাত ছুঁয়ে তাও যায় না ধরা
বেহুশ আবেগে শৈবালসব আত্মহারা।
বালিতে, শীতলপাটিতে সুর তুলে নতুন ঘর
ঘরেতে নেই মানুষ, শুধুই এক পাটি রোদ্দুর।
ঝিনুকে উঠে সুপ্ত প্রেমের গর্জন
রোদ্দুর দেয় না সেই ঝিনুকে বিসর্জন।
রেশমি আলোয় ছেদ ঘটে ঘোরের
উষ্ণ খোয়াবনামা শেষে আলোড়ন তোলে ভোর।
স্তিমিত পদধূলি মনচত্বরে আঁচড় কাটে
শুন্য ঘরে ঘুরে ফিরে আগন্তুকের শ্রাবণময়ী ধারা।
নেশায় কাটে বেলা অবেলা কালবেলা
কালি ফুরিয়ে যাবে, তবু কাব্যকথা থেকে যাবে অসমাপ্ত।
রোদ্দুর তুমি ডুবে যাও সাগরেতে
কেননা তোমার জন্যে রেখেছি পেতে জলকণাতে।
বৈরাগী কাজলভরা আঁখির নেশা
বুঝে নিও নাহয় মন কারিগরের নীরবতার ভাষা।
কতকাল করবে অবহেলা, ছুটবে অসীম নীলে?
কতকাল ছুটবে জড়িয়ে কুয়াশার চাদর, করবে ভয়?
মনে রেখো বেবাগী পিয়ানো বেজে যাবে অনন্তকাল।
মনে রেখো অসমাপ্ত কাব্যকথা রয়ে যাবে তোমার চিরকাল।
লেখালেখি তাসনিম জারিনের কল্পনা জগতের একটা ছোটখাটো প্রকাশমাত্র। সে আড়ালে থাকা সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম সাধারণ জিনিস সবার সামনে তুলে আনার চেষ্টা করে এবং নিজেকে ‘চিত্রকল্পী’ হিসেবে আখ্যা দিতে পছন্দ করে।