মোহ

Editor
2 Min Read

তাসনিম জারিন অধীরা


বেলা শেষে বেলা বাড়িয়ে আমি তোমার মোহে ডুব দিই।

জলের আকুল আমন্ত্রণ ত্যাজ্য করে খুঁজি খণ্ডচিত্র, তোমার আবহ চিত্র। 

ভারি গলায় আকাশ ডাকে,

কিন্তু সাঁঝেরবাতি জ্বালিয়ে মন পাড়ি দেয়

ডানা মেলে তোমার ভাঙা উঠোনে। 

হাতের লিপির দুর্দশা, কীসব ছাইপাঁশ ছবিতে কালি তুলে,

শুধু একটাই গন্তব্য—

কোনো এক রেখার শেষ টানে 

দাঁড়িয়ে যাবে মোহনীয় মানুষটার পঙক্তিমালা।

 

কাঁচা হাতে গুড় বাছাই করে যন্ত্র ঘুরিয়ে 

এক বিবাগী কণ্ঠ শোনার এত প্রহর গোনা দেখে

সখীগণ করে তীব্র উপহাস।

কিন্তু তার ধ্বনি যেন আমার শখের নূপুরের

প্রতিটা ঘুঙুরের মধুময় ঝঙ্কার,

সেই ঘুঙুর যে অতি যত্নের প্রাপ্য।

যাযাবর মন একখান হয়েছে স্থির,

অস্থিরতার নিখোঁজ সংবাদে গাছটার নিচে 

ধীর হয়ে বসে এলিয়ে দেয় দেহ।

এই বুঝি পৃথিবীকে লাগে স্তব্ধ,

মৃত তারাসব লাগে জীবন্ত,

ক্ষুদ্র সবুজ পোনায় বাঁধে নিবিড় নীলিমা

 

শুধু দুটো উঠোনে একখান ঘর উঠে

আর আকাশে একখান নির্লিপ্ত জোছনা। 

যেই জোছনাকুমারীর দিকে তাকিয়ে কালক্ষেপণ করে

দুই মন এক ঘরখানায়।

নিভৃতচারী শুনতে পায় না সময়ের ঝঙ্কার,

শুধু নিশ্বাস হয় গাঢ়, অনেক গাঢ়।

 


লেখালেখি তাসনিম জারিনের কল্পনা জগতের একটা ছোটখাটো প্রকাশমাত্র। সে আড়ালে থাকা সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম সাধারণ জিনিস সবার সামনে তুলে আনার চেষ্টা করে এবং নিজেকে ‘চিত্রকল্পী’ হিসেবে আখ্যা দিতে পছন্দ করে।

 

Share this Article
Leave a comment